Loading Now
×

জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিষয়ক নির্দেশ প্রশ্ন- উত্তর

birth id

জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিষয়ক নির্দেশ প্রশ্ন- উত্তর

জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সম্পর্কি  নির্দেশ

 

জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন একটি গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক অধিকার এবং সরকারের জন্য অপরিহার্য একটি প্রশাসনিক প্রক্রিয়া। জন্ম নিবন্ধন আইন, ২০০৪ অনুযায়ী, প্রত্যেক নাগরিকের জন্ম নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। এটি শুধুমাত্র একটি আনুষ্ঠানিক নথি নয়, বরং এটি নাগরিকত্ব, শিক্ষা, চাকরি, পাসপোর্ট, উত্তরাধিকার, এবং অন্যান্য সরকারি সেবার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

১। জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে কিংবা পরবর্তী সময়েও নিবন্ধন করতে অনেক সময় পিতা মাতার জন্ম নিবন্ধন পাওয়া যায় না, করণীয় কী?

জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০০৪ অনুযায়ী জন্ম নিবন্ধন সকলের জন্য বাধ্যতামূলক (ধারা ৫(১), ৬ক এবং ৮(১))। এই আইন অমান্য করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অনধিক ,০০০ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন। বর্তমানে বিদ্যালয়ে ভর্তি, চাকরি, পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্রসহ ১৯টি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন আবশ্যক। তাছাড়া, জন্ম নিবন্ধন ছাড়া মৃত্যু নিবন্ধন সম্ভব নয়, যা উত্তরাধিকার নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয়।

পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন না থাকলে কী করা যাবে?

অনেক সময় সন্তানের জন্ম নিবন্ধন করতে গেলে দেখা যায়, পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন নেই। এই পরিস্থিতিতে করণীয়—

সন্তানের জন্ম নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করুন
সন্তানের জন্ম নিবন্ধনের জন্য কিছু নির্দিষ্ট নথি প্রয়োজন হয়। পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন না থাকলেও শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) বা অন্যান্য সরকারি রেকর্ড থেকে বয়স প্রমাণ করা সম্ভব।

পিতামাতার জন্ম নিবন্ধন সহজেই করা সম্ভব
শুধু বয়স প্রমাণের নথি (যেমন শিক্ষা সনদ বা জাতীয় পরিচয়পত্র) সংযুক্ত করে পিতামাতার জন্ম নিবন্ধন করা যেতে পারে। একে সমস্যা না দেখে বরং সুযোগ হিসেবে দেখা যেতে পারে, যাতে পুরো পরিবার একসাথে নিবন্ধিত হয়।

ফ্যামিলি ট্রিপদ্ধতির মাধ্যমে নিবন্ধন করা
জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনের সঠিক ডাটাবেজ বজায় রাখতেফ্যামিলি ট্রিএকটি কার্যকর পদ্ধতি। বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে এই পদ্ধতি গ্রহণ করেছে, যেখানে সন্তানের জন্ম নিবন্ধনের সঙ্গে পিতামাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর সংযুক্ত করা হয়। এতে—

  • পরিবারের সদস্য সংখ্যা ও ক্রমিক নম্বর নিশ্চিত করা যায়
  • উত্তরাধিকার সম্পর্ক স্পষ্ট থাকে
  • অনৈতিকভাবে বয়স বা অন্যান্য তথ্য পরিবর্তন প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়

২। ম্যানুয়াল জন্ম নিবন্ধন, যেগুলি এখনও অনলাইনে করা হয়নি-এগুলির বিষয়ে করণীয় কী?

ম্যানুয়াল জন্ম নিবন্ধন এখনো অনলাইনে অন্তর্ভুক্ত না হলে করণীয়

আগে হাতে লেখা (ম্যানুয়াল) জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে অন্তর্ভুক্তির জন্য একাধিকবার সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে এখন এই নিবন্ধনগুলোকে হুবহু একই জন্ম নিবন্ধন নম্বর দিয়ে অনলাইনে যুক্ত করার সুযোগ নেই

যদি ম্যানুয়াল জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে না থাকে, তাহলে কী করবেন?

স্থানীয় নিবন্ধন কার্যালয়ে যোগাযোগ করুন
যে এলাকায় ম্যানুয়াল জন্ম নিবন্ধনটি করা হয়েছিল, সেখানকার ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভা/সিটি করপোরেশনের জন্ম মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয়ে যোগাযোগ করুন

পুরাতন সনদের তথ্য যাচাই করা হবে
নিবন্ধন কার্যালয়ে রক্ষিত পুরাতন রেজিস্টার বই থেকে আপনার জন্ম নিবন্ধনের তথ্য যাচাই করা হবে

অনলাইনে নতুনভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে
যদি নিবন্ধন ইতোমধ্যে অন্য কোথাও করা না হয়ে থাকে, তাহলে সংশ্লিষ্ট নিবন্ধক পুরাতন তথ্য ব্যবহার করে অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধন তৈরি করবেন

নতুন জন্ম নিবন্ধন নম্বর প্রদান করা হবে
পুরাতন ম্যানুয়াল নিবন্ধনকে অনলাইনে অন্তর্ভুক্ত করার সময় নতুন জন্ম নিবন্ধন নম্বর দেওয়া হবে। এতে নাগরিকের কোনো ধরনের অসুবিধা বা ক্ষতি হবে না

৩। পূর্বের সফটওয়্যারে সংশোধিত কোন তথ্য BDRIS সফটওয়্যারে পাওয়া না গেলে কী করতে হবে?

নিবন্ধনের সংশোধিত তথ্য নির্বাহী কর্মকর্তা বা ডিডিএলজির মাধ্যমে রেজিস্ট্রার জেনারেল-এর কার্যালয়ে প্রেরণ করে হালনাগাদ করানো যাবে।

৪। পূর্বের যে সকল জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন শুধু বাংলায় আছে সেগুলি কীভাবে ইংরেজিতে করা হবে?

যে সকল জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন শুধুমাত্র বাংলায় করা হয়েছে, সেগুলি ইংরেজিতে করার জন্য সংশ্লিষ্ট নথিপত্রের অনুবাদ করা প্রয়োজন। এই কাজটি করতে হলে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করা যেতে পারে:

  1. অথেনটিক অনুবাদ: আগে যে নিবন্ধনগুলো বাংলায় ছিল, সেগুলোর কপি সংগ্রহ করে, দক্ষ অনুবাদক দ্বারা ইংরেজিতে অনুবাদ করতে হবে।
  2. নথির যাচাই: অনুবাদ করার পর, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নথির সঠিকতা যাচাই করতে হবে।
  3. অনুমোদন প্রাপ্তি: সংশ্লিষ্ট অফিসে ইংরেজি ভাষায় পুনঃনিবন্ধন করার জন্য আবেদন করতে হবে। এখানে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দিষ্ট নিয়ম এবং পদ্ধতির মাধ্যমে পুনঃনিবন্ধন সম্পন্ন করা হবে।

৫। জমজ সন্তানের জন্ম নিবন্ধন কীভাবে করা হবে?

প্রত্যেক সন্তানের জন্য পৃথকভাবে আবেদন করে অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে।

৬। ১৭ ডিজিটের কম জন্ম নিবন্ধন নম্বর কিভাবে ১৭ ডিজিটে উন্নীত করা যাবে?

পুরাতন সনদ জমা দিয়ে সংশ্লিষ্ট নিবন্ধক কার্যালয় থেকে ১৭ ডিজিটের নতুন সনদ সংগ্রহ করতে হবে।

৭। বিবাহিত নারীর জন্ম নিবন্ধন স্বামীর বাড়ির ঠিকানায় করা যাবে কি?

আইন অনুযায়ী, জন্ম নিবন্ধন স্বামীর ঠিকানায় করা যাবে, তবে পিতা-মাতার নাম উল্লেখ করতেই হবে।

৮। নিবন্ধনাধীন ব্যক্তিকে কি বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় সনদ দিতে হবে?

হ্যাঁ, বাধ্যতামূলকভাবে উভয় ভাষায় সনদ প্রদান করতে হবে।

৯। জন্মমৃত্যু নিবন্ধন বা তথ্য সংশোধনের সময় মোবাইল ফোন নম্বর ব্যবহারের নিয়ম:

যেহেতু বিষয়টি ব্যক্তিগত তথ্যের সাথে সংশ্লিষ্ট, সেহেতু এ ক্ষেত্রে নিবন্ধনাধীন ব্যক্তি বা তার পিতা-মাতা-অভিভাবকের মোবাইল ফোন নম্বরই ব্যবহার করতে হবে। এদের কারও ইমেইল নম্বর (যদি থাকে) দিলে তা আরও সুবিধাজনক হবে।

পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৫ জন হতে পারে এমন ধারণা থেকে সফটওয়্যারে একটি মোবাইল ফোন নম্বর পরিবারের সর্বোচ্চ ৫ জন সদস্যের ব্যবহারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যদি কোনো ফোন নম্বর ৫-এর অধিক সংখ্যক নিবন্ধনে ব্যবহার করা হয়, তবে পরবর্তী সময়ে সেসব নিবন্ধনের কোনো সন্ধান পাওয়া যাবে না।

যদি পরিবারের কোনো মোবাইল ফোন না থাকে বা সদস্য সংখ্যা বেশি হয়:

  • নিবন্ধনাধীন ব্যক্তি বা তার পিতা-মাতা-অভিভাবকের সম্মতিতে তার নিকট-জনের ফোন নম্বর ব্যবহার করা যাবে।
  • কোনো অবস্থায়ই নিবন্ধন কার্যালয়ের দাপ্তরিক বা কর্মচারীর ব্যক্তিগত ফোন নম্বর ব্যবহার করা যাবে না।

১০। বিবাহ বিচ্ছেদ বা পিতামাতার একজন অপ্রাপ্য/নিখোঁজ হলে সন্তানের জন্ম নিবন্ধন:

এইরূপ ক্ষেত্রে পিতা-মাতার একজনের তথ্য দিয়ে, অপরজনের শুধু নাম উল্লেখ করে সন্তানের জন্ম নিবন্ধন করা যাবে।

১১। পিতামাতার যে কোনো একজন বিদেশী হলে সন্তানের জন্ম নিবন্ধন:

  • মাতা বা পিতার যে কোনো একজন বিদেশী হলে, যিনি বাংলাদেশি নাগরিক, তাকে তার স্থায়ী ঠিকানার প্রয়োজনীয় দলিলাদি নিয়ে নিবন্ধন অফিসে যোগাযোগ করতে হবে।
  • নিবন্ধক প্রয়োজনীয় অনুসন্ধান শেষে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে নিবন্ধন সম্পন্ন করবেন।

১২। বিদেশে জন্ম নিবন্ধন করে দেশে ফেরত আসা প্রবাসীদের তথ্য সংশোধন বা সনদ পুনঃমুদ্রণের প্রক্রিয়া:

  • যে নিবন্ধন অফিসে জন্ম/মৃত্যু নিবন্ধন করা হয়েছে, সংশোধন বা সনদ পুনঃমুদ্রণের প্রয়োজন হলে, সেই অফিস থেকেই তা সম্পন্ন করতে হবে।
  • আইনত অন্য অফিস থেকে তা করার সুযোগ নেই।
  • স্থানীয় নিবন্ধন অফিসের সহায়তায় বা অনলাইনে মূল নিবন্ধন অফিস বরাবর উপযুক্ত দলিলাদিসহ আবেদন করা যেতে পারে।
  • আবেদন অনুলিপি রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ে (arg1bdr@gmail.com) প্রেরণ করলে, প্রয়োজনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় তা নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করা হবে।
  • ভবিষ্যতে জন্ম নিবন্ধনের করণিক ভুল সংশোধন বা ইংরেজি/বাংলা প্রতিলিপি যে কোনো নিবন্ধন অফিস থেকে সরবরাহ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

১৩। জন্মমৃত্যু নিবন্ধনের ফি বাবদ প্রাপ্ত অর্থ চালানের মাধ্যমে জমা BDRIS- আপলোড সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান:

  • জন্মমৃত্যু নিবন্ধন বিধিমালা ২০১৮এর বিধি ২১ ()অনুযায়ী প্রতি মাসে আদায়কৃত অর্থ পরবর্তী মাসের ৭ তারিখের মধ্যে সরকারি তহবিলে জমা প্রদান বাধ্যতামূলক।
  • BDRIS- চালান সংক্রান্ত তথ্য আপলোড করতে না পারার সম্ভাব্য কারণ:
    1. চালানের তথ্যের সঙ্গে সংযুক্ত ফাইলের আকার ১০২৪ কিলোবাইটের বেশি হলে আপলোড হবে না। (প্রতিটি ফাইলের সর্বোচ্চ আকার ১০২৪ কিলোবাইট বা এর নিচে হতে হবে।)
    2. চালানের টাকার পরিমাণ ব্যালান্স-এর পরিমাণের চেয়ে বেশি হলে সমস্যা হতে পারে। (চালানের টাকার পরিমাণ সর্বদা ব্যালান্স-এর সমান বা কম হতে হবে।)

অথরাইজড ইউজার রিলিজ করার নিয়ম:

  • বদলি বা অন্য কোনো কারণে ‘অথরাইজড ইউজার’কে রিলিজ করতে হলে, বিধি ২১ ()অনুযায়ী আদায়কৃত সমুদয় টাকা চালানের মাধ্যমে জমা দিয়ে ব্যালান্স শুন্য করতে হবে।
  • এরপর জেলা/উপজেলা অ্যাডমিনের মাধ্যমে রিলিজ করা যাবে।

১৪।পসিবল ডুপ্লিকেটদেখানোর কারণ:

জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার পর, যদি কোনো ব্যক্তির নাম, পিতার নাম এবং মাতার নাম জন্ম নিবন্ধন ডেটাবেসে পূর্বে সংরক্ষিত কোনো নিবন্ধনাধীন ব্যক্তির সঙ্গে হুবহু মিলে যায়, তবে সফটওয়্যার স্বয়ংক্রিয়ভাবে “সম্ভাব্য সদৃশ” বা ‘পসিবল ডুপ্লিকেট’ স্ট্যাটাস দেখায়।

নিম্নোক্ত ৫টি নির্ণায়ক বা ‘প্যারামিটার’ মিলে গেলে ‘পসিবল ডুপ্লিকেট’ ১০০% ডুপ্লিকেট হিসাবে প্রতীয়মান হয়:

১. আবেদনাধীন ব্যক্তির নাম ২. পিতার নাম ৩. মাতার নাম ৪. নিবন্ধন কার্যালয়ের নাম ৫. জন্ম তারিখ

তবে, যদি জন্ম তারিখের ব্যবধান ৮ থেকে ১০ বছর বা তার বেশি হয় অথবা স্থায়ী ঠিকানা না মিলে যায়, তাহলে ‘ডুপ্লিকেট’ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

সমাধানের উপায়:

একই জেলার মধ্যে:

  • অথরাইজড ইউজার বা ক্ষেত্র বিশেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বা উপপরিচালক (স্থানীয় সরকার) প্রয়োজনীয় অনুসন্ধান বা তদন্ত করবেন।
  • সংশ্লিষ্ট নিবন্ধন অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টির সমাধান করবেন।

ভিন্ন জেলার মধ্যে:

  • প্রথমে প্রশাসনিকভাবে উভয় জেলার মধ্যে যোগাযোগ করে অনুসন্ধান করতে হবে।
  • ডুপ্লিকেট হওয়ার অনুকুলে কোনো তথ্য না পাওয়া গেলে আবেদনকারীকে লিখিত মুচলেকা নিয়ে আবেদনটি মঞ্জুর করা যেতে পারে।
  • আবেদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল ডকুমেন্ট সংরক্ষণ করতে হবে।

জন্ম নিবন্ধন নম্বর ডুপ্লিকেট হলে করণীয়:

অনলাইন জন্ম নিবন্ধনের শুরুতে অসাবধানতা বা অন্যান্য কারণে একই নম্বর একাধিক ব্যক্তির জন্য ব্যবহৃত হতে পারে।

সমাধানের ধাপ:

  • সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তিকে নিবন্ধন অফিসে এনে সম্মতির ভিত্তিতে একজনকে মূল নম্বর বরাদ্দ দেওয়া হবে।
  • অন্যজনকে নতুন নম্বর দিয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হবে।
  • সমঝোতা না হলে যার নিবন্ধন আগে হয়েছে, তার জন্য পুরাতন নম্বর রেখে অপরজনকে নতুন নম্বর বরাদ্দ (reset) করতে হবে।
  • এই অপশনটিBDRIS সফটওয়্যারের “জন্ম তথ্য” মডিউলে “জন্ম নিবন্ধন বিষয় সঠিক করুন” অপশনে পাওয়া যাবে। এটি শুধুমাত্র অথরাইজড ইউজারদের জন্য প্রযোজ্য।
  • অপর ব্যক্তিকে হাজির করা না গেলে, উপস্থিত ব্যক্তি সম্মত হলে তাকে একটি নতুন নম্বর প্রদান করা যেতে পারে।
  • তদন্ত/অনুসন্ধানে অপর ব্যক্তি অস্তিত্বহীন প্রমাণিত হলে সেই নিবন্ধন বাতিল করতে হবে।

১৫। জন্ম মৃত্যু সনদে মোবাইল নম্বর সংশোধন/সংযোজনের প্রক্রিয়া:

বর্তমানে BDRIS সিস্টেমে জন্ম ও মৃত্যু সনদে মোবাইল নম্বর সংশোধন/সংযোজন করা সম্ভব।

নিবন্ধন কার্যালয় ইউনিয়ন পরিষদ হলে:

  • উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ইউজার আইডির মাধ্যমে সংশোধন/সংযোজন করা যাবে।

সিটি কর্পোরেশন, ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড বা পৌরসভা হলে:

  • উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার), জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ইউজার আইডির মাধ্যমে সংশোধন/সংযোজন করা যাবে।

আবেদনকারীকে নিবন্ধন কার্যালয়ে যেতে হবে না।

  • সরাসরি জেলা বা উপজেলা কার্যালয়ে যোগাযোগ করলেই সংশোধন করা যাবে।
  • মোবাইল নম্বর সংযোজনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
    1. জন্ম নিবন্ধন সনদ
    2. জাতীয় পরিচয়পত্র (যদি থাকে)
    3. পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন সনদ বা জাতীয় পরিচয়পত্র

সংশ্লিষ্ট জেলা বা উপজেলা কার্যালয়ে যোগাযোগের মাধ্যমে মোবাইল নম্বর সংশোধন বা সংযোজন করা যাবে।

জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন

জন্ম নিবন্ধনের  চেক

 

 

Share this content:

Post Comment